ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা সংশ্লিষ্ট কোন সমস্যা চিহ্নিতকরণ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ণ এবং প্রতিরোধ করার স্বীকৃত পদ্ধতি হল pharmacovigilance যা প্রতিটি দেশের drug regulatory authority এর মত বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর(DGDA) এর অন্যতম কাজগুলোর একটি। Drug safety বিষয়টি বিবেচনা করে পৃথিবীর প্রায় ১৩৪ টি দেশের মত বাংলাদেশেও pharmacovigilance এর কার্যক্রম শুরুর প্রেক্ষিতে USAID কর্তৃক পরিচালিত সংস্থা SIAPS এর সহায়তায় DGDA নতুনভাবে ADR Monitoring Cell (ADRM) গঠন করে এর কার্যক্রম শুরু করেছে। ২০১৩ সালের ১লা জানুয়ারী গঠিত ০৬(ছয়) সদস্য বিশিষ্ট এই সেল কে জনস্বার্থে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় একই সালের ৩রা সেপ্টেম্বর National Drug Monitoring Centre হিসেবে ঘোষণা করতঃ প্রজ্ঞাপণ জারী করেছে। উক্ত সেল কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য ২৫/০৪/২০১৪ তারিখে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালককে সভাপতি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধির সমন্বয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ADR Reporting Form সংগ্রহ ও মুল্যায়ণ করা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ৩০(ত্রিশ) টি হাসপাতাল/চিকিৎসা প্রদানকারী ইনস্টিটিউট এবং ৩০(ত্রিশ) টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীকে ADR Reporting এর জন্য নির্বাচন করে এ সকল প্রতিষ্ঠান থেকে একজন করে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণপূর্বক তাদেরকে প্রাথমিককভাবে ফার্মাকোভিজিল্যান্স কাজের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ AEFI Monitoring, কালাজ্বর ও অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর সাথে ঔষধ প্রশাসনের কর্মসূচী সমন্বয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঔষধ প্রশাসনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক National Drug Monitoring Centre, Bangladesh কে WHO Program for International Drug Monitoring in Uppsala, Sweden এর সহযোগী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।